বিনোদন ডেস্ক : সূর্য যেমন প্রতিদিন নিয়ম মাফিক উদয় হয়, তেমনি অস্তও যায়। আর এর সাথে সাথে বদলে যায় প্রায় সবকিছুই। ক্যালেন্ডারের তারিখ, মানুষের জন্ম-মৃত্যুর দিন। এমন করে সবকিছুরই সময় বদলে যায়। আর বয়সের কথা ধরলে, সে তো কোনোভাবেই কমেনা, বরং বাড়তেই থাকে। তবে টালিউড হট সেনসেশন মধুমিতা সরকারের বেলায় কেন ভিন্ন হলো?
দিনপঞ্জিকা অনুযায়ি আজ ২৬ অক্টোবর, মঙ্গলবার। টালিউডের বর্তমান সময়ের সারাজাগানো অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার জন্মেছিলাম এই দিনেই। সালটা ছিলো ১৯৯৪। সে হিসেবে তার বয়স হওয়া উচিৎ ২৭ বছর। কিন্তু না, ২৭ বছরের বদলে বরং মধুমিতার বয়স দাড়ালো ২ বছর! পাঠক হয়তো ভাবছেন কি করে এটা সম্ভব! তবে যা দেখছেন সেটাই সত্যি। মধুমিতা তার এই ২৭ বছরের সংখ্যাটাকে মানতে একদমই নারাজ। উল্টো তিনি জানিয়েছেন তিনি সবে মাত্র দু বছরে পা দিয়েছেন।
এবারের জন্মদিনে সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে একটি ছোট্ট ভিডিও শেয়ার করেছেন মধুমিতা। সে ভিডিওতে দেখা যায়, সোনালি রঙের ২ সংখ্যার আকৃতির একটি বেলুন নিয়ে ক্যামেরার সামনে পোজ দিচ্ছেন। এর মাঝেই কেউ একজন তার দিকে ৭ সংখ্যার আকৃতির আরেকটি বেলুন এগিয়ে দিচ্ছিলেন। কিন্তু সেটা নিতে একদমই নারাজ মধুমিতা। ৭ কে বারবারই ঠেলে দূরে সরিয়ে দিচ্ছেন তিনি।
২ এর সাথে ৭ সংখ্যার আকৃতির বেলুনটিকে রাখলেই হয়ে যাবে ২৭। যেটা মধুমিতার প্রকৃত বয়স। কিন্তু তিনি সেটা মানতে একদমই রাজি নন। তাই ২ সংখ্যাটাকে নিজের কাছে রেখে ৭ সংখ্যাটাকে দূরে ঠেলে দিয়েছেন।
শুধু ছবিই নয়, জন্মদিনের সাজে মধুমিতা কিছু ছবিও পোস্ট করেছেন ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে। সেখানে দেখা যায়, সাদা রঙের সুন্দর একটি গাউনে সেজেছেন তিনি। বার্থডে কার্ডের মাধ্যমে বিশেষ কেউ তাকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। সেই কার্ডসহ একটি ছবি পোস্ট করে মধুমিতা লিখেছেন, ‘অসংখ্য ধন্যবাদ এতো ভালোবাসা ও শুভেচ্ছার জন্য।’
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে একটি টিভি সিরিয়ালের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন মধুমিতা সরকার। এরপর আরও অনেকগুলো ধারাবাহিক নাটকে দেখা যায় তাকে। তবে ২০১৩ সালে প্রচারে আসা ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’ সিরিয়ালের মাধ্যমে তিনি আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা পান। এ নাটকে তার চরিত্রের নাম ছিল পাখি। নাটকটি এতোই জনপ্রিয় হয়েছিল যে, তিনি নিজেও পাখি নামে পরিচিতি পেয়ে যান।
২০১৭ সালে ‘পরিবর্তন’ নামের একটি সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু হয় মধুমিতার। তবে তিনি পুরোদমে সিনেমায় এসেছেন ২০২০ সালের ‘লাভ আজ কাল পরশু’ দিয়ে। এরপর তাকে ‘চিনি’ ও ‘টেংরা ব্লুজ’ নামের দুটি সিনেমায় দেখা গেছে।