নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে জোড়া বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১০২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় দেড় শতাধিক।
বৃহস্পতিবার ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণে নিহতদের মধ্যে নিজেদের ২৮ সদস্য রয়েছেন বলে জানিয়েছে তালেবান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তালেবান কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা (এই হামলায়) আমেরিকানদের চেয়ে বেশি মানুষ হারিয়েছি।’ তা সত্ত্বেও ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রত্যাহার কার্যক্রম শেষ করতে আমেরিকানদের সময় বাড়ানোর প্রয়োজন নেই এবং এই সময়ের মধ্যেই তাদের সরে যাওয়া উচিত বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার ওই জোড়া আত্মঘাতী হামলায় ১৩ মার্কিন সেনাও নিহত হন। আহত হন আরও ১৮ সেনা।
গত ২০১১ সালের পর আফগানিস্তানে এক ঘটনায় সর্বোচ্চ মার্কিন সেনা নিহতের ঘটনা ঘটেছে এদিন। ওই বছর আগস্টে আফগানিস্তানে একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৩০ জন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছিলেন।
ভয়াবহ এই হামলার দায় স্বীকার করেছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। বিবৃতিতে আইএস বলেছে, তাদের একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সঙ্গে থাকা অনুবাদক এবং সহযোগীদের লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তালেবান সংস্কৃতি কমিশনের সদস্য আবদুল কাহার বলখি বলেছেন, এটা সন্ত্রাসবাদী হামলা। বিদেশি সেনা উপস্থিতির কারণে এই হামলা হয়েছে। আমরা আর এমন হামলা চাই না। সারা বিশ্বের উচিত এই হামলার নিন্দা জানানো।
তালেবান এই হামলার সুযোগ করে দিয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল কেনেথ ম্যাককেঞ্জি বলেছেন, তালেবান হামলার সুযোগ করে দিয়েছে তিনি এমনটা বিশ্বাস করেন না।
তিনি বলেন, আমি মনে করি না তালেবান হামলার সুযোগ করে দিয়েছে এমন কিছু আছে যা আমাকে এ বিষয়ে বিশ্বাস জোগাবে।