ঢাকা : বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁও কেন্দ্রীয় ঔষধাগার প্রাঙ্গণে ভারত সরকারের পাঠানো উপহার অ্যাম্বুলেন্স বিতরণ অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বর্তমানে সংক্রমণের হার সাড়ে ৭ শতাংশ, যা ৩৩ শতাংশ হয়েছিল। করোনায় আমরা অনেককে হারিয়েছি। ভারতেও করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও কমবেশি করোনা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আসলে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করোনা নিয়ন্ত্রণ হয়। করোনাকালে আমাদের অনেক কাজ করতে হয়েছে। একটি ল্যাব থেকে বর্তমানে ৮০০ ল্যাব হয়েছে। প্রতিদিন ১০০টির মতো করোনা টেস্ট হতো। সেখানে বর্তমানে দৈনিক গড়ে ৩০ হাজার টেস্ট করা হচ্ছে। করোনা রোগীর জন্য ১৭ হাজার আলাদা বেড রাখতে হয়েছে। ২০০টি আইসিইউ থেকে ১৩০০ আইসিইউতে উন্নিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এর জন্য আলাদা হাসপাতাল ছেড়ে দিতে হয়েছে। স্বাস্থ্যের বিভিন্ন নিয়োগ কার্যক্রম চলছে। মানুষের কল্যাণে অনেক ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছে। সবার সহযোগিতায় করোনা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম বাংলাদেশ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ভারতের কাছে পাওনা অ্যাস্ট্রাজেনেকার বাকি টিকা আগামী অক্টোবর মাসে আসতে পারে। এখন গ্রামের মানুষদের টিকা দেয়ার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, করোনা রোগীদের আনা নেয়ার জন্য বাংলাদেশকে ১০৯ উন্নতমানের অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেয় ভারত। যার মধ্যে প্রথম দফায় আসা ৪১টি অ্যাম্বুলেন্স স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। একইসাথে সেগুলো জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছেন, করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সব ধরণের সাহায্য করছে ভারত। অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশ একসাথে করোনা মোকাবেলা করবে। এজন্য সব ধরণের স্বাস্থ্য সরঞ্জাম দেবে ভারত।